Friday, April 29, 2016

ফুল (ছড়া-১৯)

এইখানে ফুলবনে কত ফুল ফোটে
কত কলি ঝড়ে যায় ভ্রমর না জোটে।
কতকের মালা হয় প্রণয়ের লাগি
কিছু তার রয়ে যায় টানিটে আবেগি।

২৮ এপ্রিল, ২০১৬

Thursday, April 21, 2016

তপস্বী বিড়াল (ছড়া-১৮)

এই যে শুনেন বিড়াল ভায়া
তোমার কাছে কই
ইঁদুর নাকি তোমার ঘরে
পাতলো এবার সই?
এবার তবে দুজন মিলে
বিশ্বজয়ের পালা
নাকি আবার যুদ্ধ করে
বাড়বে কুটুম জ্বালা?
তোমার তো ভাই জাত-স্বভাব
কেমনে ভুলি তাই
ইঁদুর পেলেই অমনি ধরে
করবে তো খাই খাই।

১ আগস্ট, ২০১৫

মানুষের অধিকার (ছড়া-১৭)

শিশুগণ শোন সবে পৃথিবীর 'পরে
মানুষের অধিকার পাপীগণ হরে।
পাপ যেন নাহি করি; বিধির বিধান-
মেনে দিব অধিকার সমানে সমান।
ছেলে হোক মেয়ে হোক প্রাপ্য যে তার
আত্নীয় হলে তার আছে অধিকার।
বঞ্চিত নাহি হোক মানব শিশু
অনাহারী এলে দিব আহারে কিছু।

২১ এপ্রিল, ২০১৬

জোনাকি (ছড়া-১৬)

জোনাকিরা আলো দেয় মিটিমিটি জ্বলে
লুকোচুরি খেলে তারা বড় কৌশলে।
এই ছুঁই এই ছুঁই ছোঁয়া যায় না
খুকুমুনি তাই নিয়ে করে বায়না।
বাশ-ঝাড়ে বাসা বাঁধে রাতে আসে যায়
রোজ তারা এত আলো কোথা হতে পায়?
খায় কী সে খায় না- দিনে থাকে কই?
রাতে এসে কেন তারা করে পইপই?
জোনাকিরা রাতে এসো আমাদের বাড়ি
বাতায়ন খুলে রব- এসো তাড়াতাড়ি।

২০ এপ্রিল, ২০২১৬

বৃষ্টির ছড়া (ছড়া-১৫)

বৃষ্টি এলো নাচরে নাচ
কাঁদায় জ্বলে বাদল সাঁজ।
পুকুর ডোবায় বারছে জল
চলরে সবাই জলকে চল।
রাত-দুপুরে বিরাম নাই
চাঁদ-সূর্য লুকিয়ে তাই।

২০ এপ্রিল, ২০২১৬

পুতুলের বিয়ে (ছড়া-১৪)

এই যে বৃষ্টি বাদলা দিন
এমন দিনেই বাজল বীণ।
মাথায় টুপি আসবে বর
পুতুল যাবে বরের ঘর।
আসছে কুটুম বাড়ছে ধুম
কারোর চোখেই নেই'ক ঘুম।
রাত পোহালেই শুভ দিন
নাচছে নায়র তা-ধীন ধীন।

২০ এপ্রিল, ২০২১৬

আমাদের গ্রাম (ছড়া-১৩)

ঐ দূর গ্রাম দেখ
ঐ মেঠো পথ যায়
ঐখানে বাড়ী মোর
এসো যদি মন চায়।


ঐ বাঁকা নদী চলে
ঐ বড় বাশ-ঝাড়
ঐ দেখ সাদা বক
তীরে বসে পদ্মার।


আরো দূরে বট গাছ
তার পরে ফাঁকা মাঠ
ঐখানে থাকি মোরা
আঁকাবাঁকা পথ-ঘাট।


যেতে যেতে পাবে দেখা
কচিকাঁচা কলা বন
পথ ভুলে যেতে পার
হলে পরে ভোলা মন।


এসো যদি পাবে দেখা
ছোট ছোট খাল-বিল
চকচকে জল ভরা
রোদে করে ঝিলমিল।

১২ জুন, ২০১৫

কুলীন (ছড়া-১২)

না না আমি তা বলিনি
তা বলিনি বটে
পরের কথায় কান দিয়ে ভাই
গেলেন কেন চটে?

আপনি গাধা হলেই বা কি
বেকুফ কি তাই বলে!
কেউ একটু জানতে এলে
না বলে কি চলে?

সেদিন এলো মোড়ল মশায়
বলব কি রে ভাই
তোমার বাপের বেগুণ কথা
কিছুই বলি নাই।

তাই বলে কি এমনি তারে
ফেরত পাঠান যায়!
সেদিনে ঐ চুরির কথা
জানিয়ে দিলাম তাই।

তোমার ছেলে ভীষণ ভালো
গুণের নেই যে শেষ-
মাঝে মধ্যে গাঞ্জা টেনে
পাঞ্জা লড়ে বেশ!

এসব তো ভাই সত্য কথা
চটেন কেন তবে
তুমি আমার বন্ধু মানুষ
শত্রু হলাম কবে?

২৮ জুলাই, ২০১৫

ভুত দেখা (ছড়া-১১)

ওমা সেকি! ভয় পেয়েছ?
কাঁদছ নাকি তাই?
আমি তো এক আস্ত মানুষ
বেঁচেই শুধু নাই।


এই যে দেখ হাত দুটি মোর
মস্ত দুটি পাও।
শোন খোকা ভয় পেয় না
চোখটি মেলে চাও।


নাক দেখেছ? কান দেখেছ?
মুখটি শুধু বাঁকা।
চোখ দুটি মোর বেজায় বড়
মাথার খুলি ফাঁকা।


ভয় পেয়না ভয় পেয়না
ভয় পেলে কি চলে?
অত বেশি ভয় পেলে তো
পড়বে ভয়ের তলে।


আমারো এক খোকা আছে
বেজায় বোকা সে।
আমি যে তার আসল বাবা
বুঝায় তারে কে?

২৮ জুলাই, ২০১৫

বাজার দর (ছড়া-১০)

শুনছি নাকি দাম বেড়েছে
তেল নুন আর জলে।
মাছের বাজার ঘাসের বাজার
যাতাযাত করার কলে।
আগুন নাকি বাগুন বাড়ী
পোটল কলাই সেও?
বলতে পারেন চালের বাজার
দিনাজপুরের কেউ?
মসলা ডাল আর মটশুটি
দাম বেড়েছে ঘি'র।
পিঁয়াজ রসুন পানের সাথে
বাড়ছে সুপারির।

৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

দাদুর ফোন (ছড়া-৯)

টুং টাং ফোন বেজে
মিস কল আসেরে
তাই দেখে লুটিপুটি
দাদু ঐ হাসেরে।


জানেনা সে কি করে
দিতে হয় কলটি
ঐ দেখ হাত কাঁপে
গায়ে নেই বলটি।


চুপিচুপি কথা কয়
কী সজাগ বাপরে
কাছে এলে দেয় তাড়া
পথ খুঁজে মাপরে।

১৬ এপ্রিল, ২০১৬

আপ্যায়ন (ছড়া-৮)

ঝাল বুট চানাচুর
গম রুটি মাখতা
খেতে দিব লেবু-পাতা
সিলেটের লাল চা।
জলপাই জামরুল
চাঁপায়ের পাকা আম
দুধ ভাত কলা গুড়
গাছে পাকা কালাজাম।
দই চিড়া বাতাসা
নাটোরের গোল্লা
রুই মাছ ঝোল ভাত
সাথে দিব কল্লা।

১৬ এপ্রিল, ২০১৬

ভোরের ছড়া (ছড়া-৭)

ভোর যে হলো রাত পোহালো
কৃষাণ নামে মাঠে
ওরে খোকন ওঠরে জেগে
আর ঘুমাস না খাটে।
দল বেঁধে ঐ যায় হাটুরে
মাথায় নিয়ে ধামা
তোর সাথীরা মক্তবে যায়
গায়ে লম্বা জামা।
ডাকলো পাখি গাছের ডালে
রাখাল ছেলে ধায়
খোকন সোনা ওঠরে বাছা
পড়বি জামা গায়।
খোকন হবে অনেক বড়
করবে সবায় নাম
সবায় কে তুই বাসবি ভালো
স্বর্গ হবে গ্রাম।

১৬ এপ্রিল, ২০১৬

দুষ্ট বালক (ছড়া-৬)

আমার নামে নালিশ কর
আমায় পড়াও হাতকড়া?
মস্ত তোমার সাহস দেখি
আমায় দেখাও লাল ছড়া!
আমায় যদি ধরতে আস
তোমায় দিব জলকেলি
ফের যদি আর নালিশ কর
মুখেই দিব চুনকালি।
সাহস দেখাও আমার সনে
আমায় দিবে নাকের খত
দাড়াও বাপু দেখাই মজা
দেখাই আমি কেমন বদ।
আমায় দেখে পালিয়ে বাঁচে
মিয়া বাড়ির যম কুকুর
আমি ওদের সবার রাজা
চুবাই জলে রোজ দুপুর।
আমায় ডরে মোড়ল-মুচি
মোল্লা বাড়ির পালোহান!
তুমি আমায় ডর দেখাবে
পারলে বাঁচাও আপন জান।

১৬ এপ্রিল,২০১৬

বৃষ্টির ছড়া (ছড়া-৫)

পূর্বাকাশে মেঘ জমেছে
বৃষ্টি এলো বলে
নায়ের পালে লাগলো হাওয়া
তড়িৎ বেগে চলে।
আমরা ছুটি বাড়ির পানে
মাথায় ঘাসের ঝুড়ি
আনন্দে ঐ ঘাসের ডগায়
জাগলো ফুলের কুঁড়ি।
গগন ধেয়ে নামলো বেয়ে
ঠান্ডা জলের ফোঁটা
আম বাগানে ঝড়ছে মুকুল
ঝড়ছে আমের বোঁটা।
নাচছে কেমন যেমন তেমন
ছাগল ছানার দল
নাচছে খুকি চোপড়া মুখি
ফুটছে বলে জল।
ছলছলিয়ে গড়্গড়ি দেয়
দুষ্ট ছেলে যারা
হৈহুল্লড়- ক্যাচকেচিতে
মাথায় তোলে পাড়া।

১৫ এপ্রিল,২০১৬

বৃদ্ধের কথা (ছড়া-৪)

আমি বুড়ো ভাইরে
ছেলেমেয়ে নাইরে।
কাজে কামে অসহায়
কাঁচা-কড়ি কিছু নাই।
পঁচা সব খাবারে
দিন কাটে বাবারে।
চোখে ভালো দেখিনা
খুঁড়ে চলা মেকি না।
কানে কম শুনি যে
এই দেখ তুমি কে?
শোন শোন দাদু ভাই
আর একটু চলো যাই।

১২ এপ্রিল,২০১৬

একচোখা বুড়িটা (ছড়া-৩)

একচোখা বুড়িটা
ছেলে মেয়ে কুঁড়িটা।
কুঁজো হয়ে হাঁটে সে
ভর করে লাঠিতে।
চোখে আঁটা চশমা
তার ছিলো দশ মা।
সকালের নাশতায়
রোজ দুটো রুটি খায়।
দুপুরেতে ঝোল ভাত
মুখে তুলে বাম হাত।
রাতে শুধু ভর্তা
বেঁচে নেই কর্তা।
ঘুম যায় খাটেতে
রোজ যায় হাটেতে।
ছনে ছাওয়া ঘর তার
শাড়ি পড়ে কালো পাড়।
মাথা ভরা জটেতে
বাড়ি ঘেরা বটেতে।
নাতি পুতি কত তার
রাতে হয় দরবার।

৭ এপ্রিল, ২০১৬

পরীক্ষার ডিউটি (ছড়া-২)

এই তোরা ল্যাখ্‌ ল্যাখ্‌
দেখা কর বন্ধ
আমি এই খাতা খুলে
লিখে যাই ছন্দ।
কেউ তোরা দেখবি না
কথা সেও বন্ধ
এসবের এক সাঁজা
খাতা জমা দন্ড।
মাথা হেলে ফিস্‌ফিস্‌
নখ তুলে ইশারা
চোখ মেরে কথা বলা
কান খুলে নো সাড়া।
মুখ ফিরে, চোখ ফিরে
আর নয় চিমটি
আর নয় খাতা খুলে
নকলের কামটি।
এসবের সাঁজা আছে
কলমের যম দাগ
খাতা নিলে পাবি না'ক
এইবার শুনে রাখ।

৬ এপ্রিল, ২০১৬

আমাদের বাড়ি (ছড়া-১)

নাগর নদীর পাশ দিয়ে ঐ
পূর্ব দিকের গাঁয়
টুনটুনিরা যেথায় বসে
দিদারছে গান গায়।
হিজল বনের আড়াল হলেই
দেখবে একটা বাড়ি
ডাব সুপারির গাছগুলি যে
দেখছ সারি সারি।
ঐ বাড়িতেই আমরা থাকি
থাকেন আমার মা
আরো আছে বিড়াল ছানা
বাকবাকুমের ছা।
উঠান জুড়ে ফুলের মেলা
বাগান ভরা গাছ
সকাল সাঁঝে সেথায় বসে
দোয়েল শ্যামার নাচ।
পুকুর জুড়ে পদ্ম ফোটে
মাছের ঘুপুর ঘুপুর
ছেলে বুড়ো নাইতে নামে
সেথায় সকাল দুপুর।

৬ এপ্রিল, ২০১৬